বাসে আগুন দেয়ার উদ্দেশ্য কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
আরফিন মুহিন | রাজধানী
রাজধানীতে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোনো কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস। কেন, কী স্বার্থে? কীসের জন্য? নির্বাচন হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নামে অংশগ্রহণ করে। টাকা-পয়সা যা পায় পকেটে নিয়ে রেখে দেয়। ইলেকশনের দিন ইলেকশনও করে না। এজেন্টও দেয় না। কিছুই করে না। মাঝ পথে ইলেকশন বয়কটের নামে বাসে আগুন দিয়ে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এর উদ্দেশ্যটা কী?’
রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আনা সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে এটাও আমরা মোকাবিলা করে চলছি। করোনার মধ্যেই এলো ঘূর্ণিঝড়, বন্যা। এরই মধ্যে কোনো কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে করোনা সামলাচ্ছি, অপরদিকে অর্থনীতির গতি যাতে সচল থাকে তার ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে যা দরকার আমরা দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যাতে সচল থাকে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আজকে ভ্যাকসিন আবিস্কার হচ্ছে। টাকা-পয়সা দিয়ে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা আমরা রেখে দিয়েছি। যেন যখনই চালু হবে আমরা এটা নিতে পারি। সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। যখনই যা প্রয়োজন আমরা করে যাচ্ছি।’
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো কাজ করেছি। দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চলে না। নিজেদের অর্থে বাজেট দিতে পারছি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানের চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন জাতি গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।